Saturday 8 May 2021

ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং কি এবং কিভাবে কাজ করে?

 ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং কি এবং কিভাবে কাজ করে?

Fingerprint Image


আমরা সবাই ইন্টারনেটে কুকিজ এবং ব্রাউজার সেশনস ইত্যাদি ব্যাবহার করে ইউজারের ব্যাপারে ইনফরমেশন কালেক্ট করা বা স্পেসিফিক ইউজারকে অনলাইনে ডিটেক্ট করার টেকনিকের সাথে পরিচিত। কিন্তু ইন্টারনেটে ইউজারদেরকে ডিটেক্ট করার একমাত্র রিলায়েবল উপায় কিন্তু শুধুমাত্র ব্রাউজার কুকিজ নয়। লিডিং টেক কোম্পানিরা ইউজারদের ডাটা কালেক্ট করার জন্য বা কোনো ইউজারের করা ফ্রড অ্যাক্টিভিটি ডিটেক্ট করার জন্য ব্রাউজার কুকিজের থেকেও আরও বেশি রিলায়েবল আরেকটি প্রযুক্তি ব্যাবহার করে থাকে, যাকে বলা হয় ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং।

ব্রাউজার কুকিজ মূলত ইন্টারনেটে ইউজারদেরকে টার্গেটেড অ্যাড দেখানোর জন্য এবং কোনো ওয়েবসাইটে একজন লগ-ইন থাকা ইউজারকে ভবিষ্যতে রিমেম্বার করে রাখার জন্য ব্যাবহার করা হয়। কিন্তু ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং এর প্রধান কাজটি হচ্ছে ইউজারদের করা কোনো ইনভ্যালিড অ্যাক্টিভিটি কিংবা ফ্রড অ্যাক্টিভিটি অথবা ইউজারদের করা এমন কোনো অনৈতিক কাজ ডিটেক্ট করা এবং সেগুলোকে প্রতিরোধ করা। তাই অ্যাড নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলো সবথেকে বেশি ব্যাবহার করে থাকে এই প্রযুক্তিটি। চলুন, আজকে ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং নিয়ে কিছুটা ধারণা নেওয়া যাক!

ডিভাইস ফিঙ্গারপ্রিন্টিং কি?

নামটা শুনতে বেশ ঝামেলার মনে হলেও এটা খুব কম্পলেক্স কোনো টেকনোলজি নয়। ধরে নিন, একটি ক্রাইম সিনে একজন ডিটেক্টিভ যেভাবে আসামীর ফেলে যাওয়া ফিংগারপ্রিন্ট কালেক্ট করেন, অনলাইন ফ্রডের ক্ষেত্রে এই ধরনের ফেলে যাওয়া ফিংগারপ্রিন্টগুলো হচ্ছে ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং। অনলাইনে কোনো ফ্রড অ্যাক্টিভিটি করার পরে যে ডিভাইস ব্যাবহার করে এটি করা হয়েছে, সেই ডিভাইসের ফিংগারপ্রিন্ট ব্যাবহার করেই যে ইউজার এই কাজটি করেছেন তাকে ডিটেক্ট করা হয়।
আপনি যখন একটি ওয়েবসাইট ভিজিট করেন, তখন ওয়েবসাইট এর ব্যাকএন্ড কিন্তু শুধুমাত্র আপনার ব্রাউজার কুকিজ এবং আপনার পাবলিক আইপি অ্যাড্রেসই জানতে পারেনা। শুধুমাত্র ওয়েবসাইট ভিজিট করার মাধ্যমেই আপনার বা আপনার ডিভাইস সম্পর্কে আরও অনেক ইনফরমেশন জেনে যায় ওয়েবসাইটটি, যা আপনি কখনো ভেবেও দেখেন নি। আপনার পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস থেকে শুরু করে আপনার আইএসপির নাম, আপনার ডিভাইসের নাম, আপনার অপারেটিং সিস্টেম, আপনার ব্রাউজার হিস্টোরি (অপশনাল), ডিভাইস টাইপ, আপনার একটি এস্টিমেটেড ক্লোজ লোকেশন পর্যন্ত এমন আরও অনেক অনেক ইনফরমেশন কালেক্ট করা সম্ভব, যে ইনফরমেশনগুলো একসাথে জোড়া দিয়ে ওয়েবসাইটের ব্যাকএন্ড আপনার ডিভাইসটির একটি ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন ডকুমেন্ট বানিয়ে ফেলতে পারে, যাকে ওই ডিভাইসের ফিংগারপ্রিন্ট বলা যায়।

ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং কিভাবে কাজ করে?

এতক্ষনে আপনি নিশ্চই অলরেডি ধারণা করতে পারছেন যে ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্ট কিভাবে কাজ করতে পারে। আপনি যে ডিভাইসটি ব্যাবহার করে কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন, সেই ওয়েবসাইটটি যদি আপনার ডিভাইসের ফিংগারপ্রিন্ট নিয়ে নিজের ডাটাবেসে সেভ করে রাখে, তাহলে আপনি সেকেন্ড টাইম ওই ওয়েবসাইট ভিজিট করলে ওয়েবসাইটের ডিটেক্ট করতে কোনো সমস্যাই হবে না যে এটা আপনি। আর এর জন্য আপনার ব্রাউজারের কোনো কুকিজের অ্যাকসেস নেওয়ারও দরকার পড়বে না ওয়েবসাইটটির। কারণ, আপনি চাইলে আপনার ডিভাইসের অনেক কিছুই চেঞ্জ করতে পারেন। কিন্তু আপনি কখনোই জানেন না যে ওয়েবসাইটটির ব্যাকএন্ড আপনার ঠিক কোন কোন ইনফরমেশন ব্যাবহার করে ফিংগারপ্রিন্ট তৈরী করেছে। তাই আপনার কাছে আপনার ডিভাইসের ফিংগারপ্রিন্ট ১০০℅ চেঞ্জ করে ফেলা খুব সহজ কোনো কাজ হবে না।
তবে কোনো ওয়েবসাইট যখন ইউজারের একটি ফিংগারপ্রিন্ট নেয়, তখন তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে ব্রাউজার ফিংগারপ্রিন্ট। আপনি ডেস্কটপে বা মোবাইল যখন কোনো অ্যাপ ইন্সটল করেন এবং ব্যাবহার করেন, তখন সেই অ্যাপটিও সার্ভারে আপনার ডিভাইসের কিছু ইনফরমেশন, যেমন- আপনার ডিভাইসের আইএমইআই নাম্বার, আপনার টাইম জোন, আপনার জিপিএস ইনফো, আপনার আইপি অ্যাড্রেস ও ম্যাক অ্যাড্রেস ইত্যাদি পাঠাতে পারে যা ব্যাবহার করে আপনার ডিভাইসের একটি ইউনিক ফিংগারপ্রিন্ট তৈরী করা সম্ভব।
আর আপনার যদি কোনো অনলাইন ফ্রড অ্যাক্টিভিটি করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে আপনি অবশ্যই কুকিজ, ব্রাউজার সেশনস, আইপি অ্যাড্রেস এগুলোর ব্যাপারে সাবধান থাকবেন। তাই শুধুমাত্র ব্রাউজার কুকিজ আর আইপি অ্যাড্রেসের ওপরে ভরসা করে বসে থাকলে আপনাকে ধরতে পারা সম্ভব নাও হতে পারে। এইজন্যই অনলাইন ফ্রড ডিটেক্ট করতে পারার জন্য সবথেকে রিলায়েবল টেকনিক হচ্ছে ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং। কারণ, এক্ষেত্রে ফাঁকি দিতে পারা অসম্ভব না হলেও বেশ কঠিন হবে।


যেসব কাজে ব্যাবহার করা হয় ।

আশা করি ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্ট কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে ভালো ধারনা পেয়েছেন। যদি এতক্ষনেও না বুঝে থাকেন যে কি কি কাজে দরকার হতে পারে ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং, তাহলে চলুন দুটি উদাহরণ দেওয়া যাক।
গুগল অ্যাডসেন্সের নাম শুনেছেন অবশ্যই। আমাদের ওয়েবসাইটেও গুগল অ্যাডসেন্স ব্যাবফার করেই অ্যাড সার্ভ করা হয়ে থাকে। যারা গুগল অ্যাডসেন্সে কাজ করেছেন, তারা জানেন যে গুগলের কিছু স্ট্রিক্ট রুলস রয়েছে অ্যাড ক্লিকের ব্যাপারে। আপনার ওয়েবসাইটে যদি ইনভ্যালিড অ্যাড ক্লিক হয়, আপনি আর গুগল অ্যাডসেন্সের সাথে কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু গুগল কিভাবে জানবে যে কোন অ্যাড ক্লিকটি ইন্টেনশনাল বা ইনভ্যালিড ছিলো? এখানেই ব্যাবহার করা হচ্ছে ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং। একজন ইউজার যতই নিজেকে হাইড করার ট্রাই করুক, ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্ট এর মাধ্যমে গুগল ডিটেক্ট করেই ফেলে যে কে কতবার কোন অ্যাডে ক্লিক করেছে।
এবার আরেকটি ইউজ কেস দেখুন। ধরুন, আপনি ফেসবুকে ই-কমার্স ওয়েবসাইট, দারাজের একটি প্রোডাক্টের অ্যাড দেখে অ্যাডটি ক্লিক করে দারাজ ওয়েবসাইটে ওই প্রোডাক্টটির পেজ ভিজিট করেছেন। কিন্তু মাইন্ড চেঞ্জের কারণে অবশেষে প্রোডাক্টটি আপনি আর পারচেজ করেন নি। কিন্তু তার পরের দিন আপনি নিজেই সরাসরি দারাজে ঢুকে ওই প্রোডাক্টটি পারচেজ করেছেন। যদিও আপনি সরাসরি ফেসবুকে দেওয়া অ্যাড থেকে পারচেজ করেন নি প্রোডাক্টটি, তবুও ফেসবুকই আপনাকে দেখিয়েছে যে দারাজে ওই প্রোডাক্টটি এভেইলেবল আছে। তাই এখানে ক্রেডিটটা ফেসবুকেরই।
এখন এই পারচেজের জন্য ফেসবুক দারাজের কাছে যে পরিমান টাকা পাওয়ার কথা, সেটা ফেসবুক কিভাবে দাবী করবে? এখানেই আবারো ব্যাবহার করা হয় ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং। ফেসবুকের কাছে যেহেতু আপনার ডিভাসের ফিংগারপ্রিন্ট আছে, ফেসবুক চাইলে সহজেই প্রমাণ করতে পারবে যে আপনি আজকে যে প্রোডাক্টটি পারচেজ করেছেন, সেই একই প্রোডাক্টের অ্যাড আপনি গতকাল ফেসবুকে দেখেছেন এবং ক্লিক করেছেন। কারণ, খুব সম্ভবত ফেসবুক এবং দারাজ, দুজনের কাছেই আপনার ডিভাইসের ফিংগারপ্রিন্ট আছে।
আবার, আপনি হয়তো খেয়াল করেছন যে, নেটফ্লিক্স বর্তমানে ১ মাসের যে ফ্রি ট্রায়াল সাবস্ক্রিপশন দিয়ে থাকে, একটি ডিভাইসে এই ফ্রি সাবস্ক্রিপশন ব্যাবহার করে ফেলার পরে আপনি আর যতই নতুন নেটফ্লিক্স অ্যাকাউন্ট তৈরী করুন না কেন, ওই একই ডিভাইসে আর কোনোদিনই ফ্রি ট্রায়াল ব্যাবহার করতে পারবেন না। এখানেও ব্যাবহার করা হচ্ছে ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং প্রযুক্তি।

কিভাবে প্রিভেন্ট করবেন?

এবার হয়তো আপনি ভাবছেন যে, ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং প্রিভেন্ট কিভাবে করা যায়, যাতে করে কেউ আপনার ডিভাইসের আর কোনো ইনফরমেশন কালেক্ট করতে না পারে? সত্যি কথা বলতে নিশ্চিতভাবে ফিংগারপ্রিন্টিং বন্ধ করার কোন ব্যাবস্থা নেই। আপনি হয়তো চেষ্টা করলে ফিংগারপ্রিন্ট তৈরি করার জন্য যেসব ডাটা ব্যাবহার কর হচ্ছে, তা কিছুটা লিমিটেড রাখতে পারেন। ব্রাউজারের বা ডিভাইসের সেটিংসে কিছু চেঞ্জ করে হয়তো নিশ্চিত করতে পারেন যে আপনার ভিজিট করা ওয়েবসাইট এবং আপনার ইন্সটল করা অ্যাপসগুলো আপনার সম্পর্কে খুব কম পরিমান ডাটা পাচ্ছে। কিন্তু ডাটা কালেক্ট করার পরিমান আপনি কখনোই জিরো-তে নামিয়ে আনতে পারবেন না।
আপনি টর ব্রাউজার এবং টর নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করে হয়তো নিজের এবং নিজের ডিভাইসের আইডেন্টিটি ফেক করতে পারেন, তবে সেটাও কোনো রিলায়েবল সল্যুশন নয়। কারন, টর নেটওয়ার্ক নিজেই প্রাইভেসির জন্য আইডয়াল কোনো সল্যুশন নয়।
এবার নিশ্চই ধারনা করতে পারছেন যে, অনলাইন ফ্রড আটকাতে আর ইউজারকে নিখুঁতভাবে ট্র্যাক করার জন্য ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং কতটা কার্যকর। তবে হ্যা, ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং কতটা কার্যকর হবে তা নির্ভর করে, যে টেক কোম্পানি এই প্রযুক্তি ইম্পলিমেন্ট করছে, তারা টেকনোলজিতে ঠিক কতটা অ্যাডভান্সড। কারণ, সঠিকভাবে এই কম্পলেক্স প্রযুক্তিটি ইমপ্লিমেন্ট করতে না পারলে তা কার্যকর তো নয়ই, বরং ইউজার এবং কোম্পানি দুজনের জন্যই আরও ঝামেলার কারণ হবে। তাই সাধারনত লিডিং টেক কোম্পানি, ই-কমার্স ইন্ডাসট্রি এবং অ্যাড নেটওয়ার্কগুলো ছাড়া অন্যন্য ছোট কোম্পানিগুলো এই প্রযুক্তি ব্যাবহার করেনা।

All Right Reserved By WireBD

Saturday 11 July 2020

ডিপ ওয়েবে কি আপনি খুঁজে পেতে পারেন?








Posted by Habibul Islam || 11, July, 2020
 
ডিপ ওয়েবে কি আপনি খুঁজে পেতে পারেন?

“Deep Web 1994 সালে শুরু হয় এবং ‘Hidden Web” হিসাবে পরিচিত ছিল। এটি 2001 সালে ‘Deep Web’ নামকরণ করা হয়, “বলেছেন Kejaya Muñoz.
Tor (short for The Onion Router) হল Deep Web এ যাওয়ার প্রধান ওয়েব পোর্টাল। এটি ব্যবহারকারীর তথ্যকে Encrypt করে এবংএকটি স্বেচ্ছাসেবক সার্ভারের মাধ্যমে সারা বিশ্বের নেটওয়ার্ক এ পাঠায়। এই পদ্ধতিতে এটি প্রায় অসম্ভব ব্যবহারকারীদের অথবা তাদের তথ্য ট্র্যাক করা।

How to connect with Deep Web?

Deep Web এ যাওয়া খুব বেশী কঠিনও না, আবার খুব সোজাও না! Dark Web এ জেতে হলে আপনার কিছু Technical এবং Web সনপর্কে ধারনা থাকতে হবে! আচ্ছা যাই হোক,Deep Web এ জেতে হলে আপনাকে আগে Tor Browser Download করতে হবে,যা আপনাকে Dark Web access করতে দিবে!

Download Tor Browser

আপনি Tor যে কোন পিসিতে ব্যবহার করতে পারেন, Mac বা এমনকি আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোনের যেকোন মোবাইল ডিভাইস. কিন্তু, যদি আমার মত, আপনি ফায়ারফক্স ব্যবহার করেন, তাহলে আপকে আগে Torbutton ইনস্টল করতে হবে। Torbutton ইনস্টল করার পর, আপনি আপনার ব্রাউজারের এড্রেস বারে কাছাকাছি পেঁয়াজের মত লোগো দেখতে পাবেন। যদি আপনি সঠিকভাবে Tor নেটওয়ার্কের  লগইন করেন, তাহলে আপনি Deep Web অন্বেষণ করা শুরু করতে পারবেন।

কিন্তু, মনে রাখবেন, এখানে আপনি দৃশ্যমান web এর মত কোন কিছু খুজে পাবেন না, কারণ এখানে Google-এর মত কোন সার্চ ইঞ্জিন নেই যে আপনি মুহুর্তের মধ্যে সব কিছু খুজে পাবেন। পরিবর্তে, এটা Wikis এবং BBS-এর মত link যা আপনাকে Deep Web-এর location দেখাবে। এই সাইটগুলি সাধারণত উদ্ভট এবং Unmemorable!

যেমনঃ SdddEEDOHIIDdddgmomionw.onion

Deep Web এর domain গুলো .com এর পরিবর্তে .onion হয়। এই link গুলো উদ্ভট হওয়ায় আপনি এখানে উল্লেখযোগ্য সময় কাটালে আপনি কোন link থেকে কোথায় এসেছেন, তা আর মনে রাখতে পারবেন না। এর জন্য আপনাকে URL গুলি সংরক্ষণ করুন, এই যাত্রায় আপনার উপায় বুকমার্ক।

ডিপ ওয়েবে কি আপনি খুঁজে পেতে পারেন?

অনেক ব্যবহারকারী ইতিমধ্যে ইন্টারনেট অন্ধকার পার্শ্ব-এর সাথে পরিচিত! কিভাবে  অবৈধ সঙ্গীত ডাউনলোড, যেখানে বিনামূল্যে সর্বশেষ সিনেমা দেখা, বা কিভাবে অল্প অর্থের বিনিময়ে অতিরিক্ত Drugs অর্ডার দেয়া যায়। But the Deep Web goes farther, almost unimaginably farther.
এছাড়া শিশু পর্নোগ্রাফি, অস্ত্র পাচার, মাদক দ্রব্য, ভাড়া হত্যাকারীরা, prostitutes, সন্ত্রাসবাদ, ইত্যাদি সব Deep Web-কে সব চেয়ে বড় Black Market-এ পরিনত করেছে।
“Deep Web সাইটে আপনি চুরি করা ক্রেডিট কার্ড বিক্রয়, এমন দল আছে,যারা এটিএম এর মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করা, কোকেন বিক্রি এবং এসব আরো জানতে পারেন,” বলেছেন দিমিত্রি Bestuzhev, বিশ্লেষক Kaspersky এর ল্যাব দলের পরিচালক।

এমন একটি জনপ্রিয় Black Market হলো ” Silk Road”!

Silk Road Deep Web-এ জনপ্রিয় মাদক দ্রব্য কেনা-বেচায়! পরমানন্দ থেকে, খাঁটি MDMA, গাঁজা, psychedelics opiates যাও এবং বীজ, তারা মূলত একটি userbase-এ Drug sale করে। তারা ফাটান, সালফিউরিক অ্যাসিড এবং তরল পারদ, চোরাই ক্রেডিট কার্ডের জন্য ‘অর্থ’, ভ্রমণকারীরা চেক এবং নকল বিল এবং কয়েন, আকাটা পাথরের মত ‘জুয়েলারী’,ভালো ‘ল্যাব সরবরাহ’, এসব কিছুর জন্য বিভাগ আছে। চুরির স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু এবং অবশেষে ‘অস্ত্র’, যেখানে তারা বর্তমানে কানাডা বিক্রয়ের জন্য একটি Glock 17 weapon, that “includes 1 clip with 9 live rounds.”


Forum posts like this are common (and often answered) and even include requests for murder:


Deep Web-এর সর্বাধিক লেনদেন সাধারণত Bitcoins মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়ে থাকে। আপনি এই ডিজিটাল মুদ্রা দিয়ে সব কিনতে পারবেন। এমনকি আপনি Prostitute ও ভাড়া করতে পারবেন! তবে এখন পর্যন্ত, এ লেনদেন গুলো বেনামী হয়। 1 Bitcoin = $ 9 মার্কিন ডলার!

আপনাদেরকে একটি STRONG WARNING দিচ্ছি, আপনি কোন site visit করছেন বা কোন link-এ click করছেন, এ ব্যপারে careful থাকবেন। Wiki page গুলো সাধারণত safe site, কিন্তু যেসব জায়গায় “‘chan’ অথবা ‘bulletin board’ label করা থাকে, সেসব জায়গা হতে দূরে থাকবেন, becos most of them contain child pornography! Deep Web site গুলোর মধ্য কিছু আছে গ্যাং পরার্মশ দেয়, কোথাও কিভাবে বিস্ফোরন করতে হবে, কাউকে murder করা, মোট কথা illigel দুনিয়ার সব এখানে পাওয়া যায়।

কিন্তু সব Deep Web site আবার খারাপ না! যেমন WikiLeaks, এই site টি public এর সামনে আসার আগে Deep Web এই ছিল! Even এখনও কেউ যদি কোন inportent information WikiLeaks এ publish করতে চায়,তাহলে তা Deep Web এর মধ্যমে করা সম্ভব! আরেকটি উদাহরণ হল বেনামী গ্রুপ, যা Tor এর মাধ্যমে সব ধরণের প্রতিষ্ঠানের উপর ব্যাপক আক্রমণ সংগঠিত করে।

So, My journey though The New Underground, the Deep Dark Web, was interesting, to say the least. There’s a lot of potential for trouble down near the bottom of this iceberg, so always be aware of what you’re doing and the legality of your actions. Still, I have an unquenchable thirst for the unknown so by carefully maneuvering in a way that kept several meters and a snake pit between myself and the most vile content on the Deep Web, I was able to learn a bit about a facet of the Internet I had yet to discover. I’d encourage you to poke around a bit as well. But, remember, do so at your own risk. Be safe, watch what you click and refrain from purchasing anything along the way.

Be careful, it’s a whole new world down there.

কিছু Deep Web সাইটের ঠিকানা!!!!!

কিছু টিপসঃ

  • #অবশ্যই ডার্ক ওয়েবে ঢোকার আগে জাভাস্ক্রিপ্ট, ফ্ল্যাশ, শকওয়েভ বন্ধ করে নিবেন। এগুলো আপনার Anonymity খুব সহজেই ভেস্তে দিতে পারে।
  • # পেইড প্রক্সি সার্ভিস ব্যবহার করুন। এগুলো মিলিটারি এজেন্সিগুলো ব্যবহার করে এবং এদের সার্ভিসও দারূণ।
  • # আপনার ডেস্টিনেশন Website যদি  কোনভাবে হ্যাক হয় তাহলে আপনার পরিচয় বেরিয়ে যাবার একটি সম্ভাবনা রয়েছে। কখনো ডার্ক ওয়েবে কোন কাজে আপনার আসল ডেটা ব্যবহার করবেন না।

মনে রাখবেন, সারফেস ওয়েবের মত ডার্ক ওয়েবেও আপনি একা নন, এখানেও দেয়ালের কান আছে……ডার্ক ওয়েবে আপনাকে স্বাগতম।।

Credit : Technical Bangla

Dark Web, Deep Web কি ? এবং এটা কি ভাবে ব্যবহার করবেন?

Posted by Habibul Islam || 11, july, 2020


image not found 😞

হলিউডি ছবির ওই দৃশ্যের কথা মনে আছে যেখানে গডফাদার তার পোষা খুনীর সাথে কখনো মখোমুখি সাক্ষাত না করে এক অতি গোপন নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে হুকুম দিয়ে যান, অথবা কি মনে পড়ে আঞ্জেলিনা জুলি অভিনীত ‘Hacker’ ছবিটির কথা যেখানে অপরাধীরা এক নাম না জানা নেটওয়ার্কের ভেতর নানা অপরাধ করত—যেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নাক গলাতে পারত না?

আপাতদৃষ্টিতে রূপালী পর্দার এসব সাইফাই মুভিগুলোকে শুধুই কেচ্ছা মনে হলেও এইসব মুভির অজানা নেটওয়ার্কের মতই আমাদের অতিচেনা ইন্টারনেটের আছে এক অন্ধকারজগত…

তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের সাথে সাথে প্রসার পেয়েছে ইন্টারনেট, আর তা আজ মহাসমুদ্রের ন্যায় বিশাল এক ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এর সাথে তাল মিলিয়ে সক্ষমতা বেড়েছে সার্চ ইঞ্জিনগুলোর। বিশেষ করে Google এর নাম বলতেই হবে, যা এখন বিশ্বব্যাপী অন্যতম এক বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডে পরিণিত হয়েছে। একটি নেট সেশনের কথা কি আমরা চিন্তা করতে পারি গুগলকে ছাড়া? অসম্ভব!


কিন্তু এই Google এর সক্ষমতা কতটুকু?

জেনে অবাক হয়ে যাবেন যে আপনি যখন কোন বিষয়ে সার্চ দেন আর গুগল তার লক্ষ লক্ষ ফলাফল আপনার সামনে হাজির করে তা ইন্টারনেটে থাকা মোট তথ্যের মাত্র ৪ শতাংশ থেকে প্রাপ্ত! অর্থাৎ গুগল অনলাইনের মোট তথ্যের ৯৬ শতাংশ জানে না! এলেমে থাকা মাত্র ৪ শতাংশের মধ্যেই সার্চ দিয়েই সে তার ফলাফলকে গ্রাহকের সামনে হাজির করে। বাকি ৯৬ শতাংশ চিরকালই আপনার অজানা থেকে যাবে।

এক জরিপে জানা গেছে দৃশ্যমান ওয়েবে যে পরিমাণ ডেটা সংরক্ষিত আছে তার চেয়ে ৫০০-৭০০ গুণ বেশী ডেটা সংরক্ষিত আছে অদৃশ্য ওয়েবে। প্রকৃতপক্ষে এই দৃশ্যমান নেট হল মহাসাগরে ভেসে থাকা এক খন্ড হিমবাহ আর ডীপ ওয়েব হল মহাসাগর খোদ নিজে!


এই অজানা ব্ল্যাক ওয়েবেই আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়

ব্ল্যাক ওয়েবেকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়, আর তা হলঃ

  • 1. The Deep Web
  • 2. The Dark Web

ডীপ ওয়েব হল ইন্টারনেটের ওই সমস্ত অংশ যেগুলো সার্চ ইঞ্জিন খুঁজে পায় না কিন্তু আপনি যদি এগুলোর ঠিকানা জানেন তাহলে আপনি এই অংশে যেতে পারবেন।

আর ডার্ক ওয়েব হল ইন্টারনেটের ওই অংশ যেখানে কনভেনশনাল উপায়ে আপনি ঢুকতে পারবেন না, প্রচলিত ব্রাউজারগুলো সেখানে প্রবেশ করতে পারে না। সেখানে প্রবেশ করতে গেলে আপনাকে বিশেষ সফটওয়্যার এর সহায়তা নিতে হবে।

ইন্টারনেটের এই অংশের উৎপত্তি কিভাবে হল? একদম সঠিক করে বলা অসম্ভব।

প্রকৃতপক্ষে আপনি বা আমি কেউই ইন্টারনেটে একা নই! আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি ডাউনলোড নজরে রাখছে আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার। তাদের কাছে আপনার পুরো লগ থাকে আর যেকোন প্রয়োজনে তারা তা সরবরাহ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। তার মানে হল আপনার চলাচলের কোন স্বাধীনতা নেই!!!

নানা সময়ে বিশ্ব ইন্টারনেটের নানা গ্রুপ এমন একটি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে যেখানে তারা খুব গোপনে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারবে। সামরিকবাহিনী, বিপ্লবী, হ্যাকার, এমনকিই খোদ প্রশাসনই এমন এক ব্যবস্থা চেয়েছে যেখানে গোয়েন্দারা খুব গোপনে নিজেদের ভেতর তথ্য আদান প্রদান করতে পারবে অথবা চুরি যাওয়া তথ্য ফিরে পেতে দর কষাকষি করতে পারবেন অপরাধীদের সাথে। তাছাড়া বিশ্বের অনেকদেশ আছে যেখানকার অনলাইন সেন্সরশিপ খুবই কড়া, ফলাফলস্বরুপ ভিন্নমতালম্বিদের এমন এক ব্যবস্থার কথা চিন্তা করতে হয়েছে যেখানে সরকার তদারকি করতে পারবে না। আর এভাবেই উৎপত্তি হয়েছে এই অজানা অংশের। সাথে সাথে এটা প্রলুব্ধ করেছে ওই সমস্ত অপরাধীদের যারা ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে মূল নেটে আলোচনা করতে সাহস পায় না।

এখন প্রশ্ন হল ডীপ ওয়েবে কেন সার্চ ইঞ্জিন সার্চ করতে পারে না?

এর কারণ হল সার্চ ইঞ্জিনগুলো তাদের সার্চ তদারকি করে এক ধরনের ভার্চুয়াল রোবট তথা Crawler দিয়ে। এই Crawler গুলো ওয়েবসাইটের HTML tag দেখে ওয়েবসাইটগুলোকে লিপিবদ্ধ করে।তাছাড়া কিছু কিছু সাইট থেকে সার্চ ইঞ্জিনে লিপিবদ্ধ হওয়ার জন্য রিকোয়েস্ট যায়। এখন যে সমস্ত সাইট এডমিন চান না যে তাদের সাইটটি সার্চ ইঞ্জিন খুঁজে না পাক, তারা Robot Exclusion Protocol ব্যবহার করেন যা Crawler গুলোকে সাইটগুলো খুঁজে পাওয়া বা লিপিবদ্ধ করা থেকে বিরত রাখে। কিছু সাইট আছে ডাইনামিক অর্থাৎ নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এই ধরণের সাইটের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া সম্ভব, আর Crawler এর পক্ষে এই সব করা সম্ভব হয় না। কিছু সাইট আছে যেগুলোতে অন্য সাইট থেকে লিংক নেই। এগুলো বিচ্ছিন্ন সাইট, এগুলোও সার্চে আসে না। তাছাড়া বলতে গেলে সার্চ ইঞ্জিন টেকনোলজি এখনো তার আঁতুড় ঘর ছাড়তে পারে নি। সার্চ ইঞ্জিনগুলো Text বাদে অন্য ফরম্যাটে থাকা(যেমন ফ্ল্যাশ ফরম্যাট) ওয়েবপ্যাজ খুঁজে পায় না!

এই ডীপ ওয়েবে থাকা তথ্যগুলো সারফেস ওয়েবের তথ্য থেকে মানে গুনে এগিয়ে। এগুলো খুবই সুসজ্জিত এবং প্রাসঙ্গিক। তাহলে বুঝুন সার্চ ইঞ্জিনগুলো কি করছে!!!

এবার আসি সবচেয়ে মজার অংশে তথা ডার্ক ওয়েবে…

আপনার প্রচলিত ওয়েব ব্রাউজার দিয়ে এই সমস্ত সাইটে ঢুকতে পারবেন না। এরা ইন্টারনেটের সমস্ত প্রথার বাইরে অবস্থান করে, গ্রাহ্য করে না কোন নিয়মকানুন। আর এদের ঠিকানাও থাকে এতটাই উদ্ভট (যেমন sdjsdhsjhsuyumnsdxkxcoioiydsu67686hsjdhjd.onion) যে সাধারণ মানুষের পক্ষে এগুলো মনে রাখা ভীষণ কঠিন। এই অংশটিই ইন্টারনেটের প্রকৃত অদৃশ্য অংশ। বিশেষ কিছু জ্ঞান(যেমন প্রোগ্রামিং, নেটওয়ার্কিং, প্রক্সি) না থাকলে আপনি এই নেটওর্য়াকে প্রবেশ করতে পারবেন না। এই অংশের আরেকটি বিশেষত্ব হল এরা ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়েবের সাইটগুলোর মত টপ লেভেল ডোমেইন (যেমন .com) ব্যবহার না করে “Pseudo Top Level Domain” ব্যবহার করে যা কিনা মূল ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়েবে না থেকে দ্বিতীয় আরেকটি নেটওর্য়াকের অধীনে থাকে। এ ধরণের ডোমেইনের ভেতর আছে Bitnet, Onion, Freenet প্রভৃতি।

এই দুনিয়াটি সবচেয়ে আলাদা! আপনই জীবনে যা কখনো কল্পনা করেন নি তাই পাবেন এখানে। হয়তো কখনো কল্পনা করেন নি যে সাইটে পাসওর্য়াড বাদে ঢুকা সম্ভব, দেখবেন তাই এখানে অহরহ হচ্ছে। এমন বিষয় পাবেন যা আপনার মাথাও গুলিয়ে দিতে পারে। উইকিলিকস ঘোষণা করেছে যে এ বছর তারা আরো নতুন ডেটা প্রকাশ করবে, কিন্তু আপনিই হয়তো বিস্ময়ভরে দেখতে পারবেন উইকিলিকস এর এই সমস্ত ডেটা এই ডার্ক ওয়েবে আছে বেশ কিছু বছর আগে থেকেই। যেকোন বইয়ের একদম লেটেস্ট এডিশন যা কিনা সারফেস ওয়েবে কপিরাইট ল’এর কারণে নেই তা দেখবেন এখানে দেদারসে আদান প্রদান হচ্ছে।

আরো আছে বিকৃতরুচির বিনোদোন! শিশু পর্ণোগ্রাফি থেকে শুরু করে নানা ধরনের Genital Mutilation এর ভিডিও যা কিনা সারফেস ওয়েবে নেই, তা এখানকার হট টপিকস।

এমন কিছু সাইট আছে যেখানে মার্জুয়ানা, হিরোইন থেকে শুরু করে সব ধরণের মাদক হোম ডেলিভারী দেয়া হয়। ডার্কনেটের মূল ব্যবহারকারী মূলত মাদকাসক্তরাই।

আবার কিছু সাইট আছে যেখানে কট্টরপন্থী গ্রুপগুলো শিক্ষা দিচ্ছে কিভাবে গোলা বারুদ বানাতে হয়, কিছু সাইটেতো রেডিমেড অস্ত্রই বিক্রি হয়। একে ৪৭ থেকে শুরু করে রকেট লাঞ্চার, মর্টারের মত অস্ত্রও কিনতে পাওয়া যায়।

আরব-বসন্তের সময় বিপ্লবকারীরা এই ডার্কওয়েবে যোগাযওগ করত। ডার্কওয়েবে নানা ধরণের মেইল সার্ভিস, চ্যাট সার্ভিস আছে যেখানে পরিচয় গোপন রেখে আপনি অনেক কিছুই করতে পারবেন।

বিস্ময় আরো আছে! বেশ কিছু দিন আগে আমি এমন এক আন্ডারগ্রাউন্ড সাইটে ঢুকি যেখানে টাকার বিনিমিয়ে কিলার ভাড়া পাওয়া যায়!!! কি ভয়ংকর, বিশ্বাস হচ্ছে না? আমারও তখন হয় নি। এমনই এক সাইটে ঢুকে দেখি কিলার তার নিজের সর্ম্পকে এভাবে বর্ণনা দিচ্ছেঃ

“ আমাকে তুমি স্ল্যাট নামে ডাকতে পার। আমি তোমার শত্রুকে প্রফেশনাল ওয়েতে শেষ করে দিতে পারব। আমি তার সাথে তোমার সমস্যা জানতে আগ্রহী নই। তুমি শুধু আমাকে টাকা দিবে আর আমি তাকে শেষ করে দিব। টার্গেটের বয়স কমপক্ষে ১৮ হতে হবে,
টার্গেট পুরুষ না মেয়ে তাতে আমার কিছু আসে যায় না
আমি গর্ভবতী মহিলাকে টার্গেট হিসেবে নেই না
আমি টার্গেটকে অত্যাচার করি না
টার্গেট যদি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য হন তাহলে বাড়তি চার্জ লাগবে
আর বাড়তি চার্জের বিনিময়ে আমি পুরো ঘটনাকে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনার মত করে সাজাতে পারব
ডাউনপেমেন্টের চার সপ্তাহের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের টার্গেটের জন্য বাড়তি ৫০০০ ডলার ট্রাভেল চার্জ লাগবে
কাজ হয়ে গেল আমি তোমাকে টার্গেটের ছবি তুলে পাঠাব”

মোটকথা আপনি এমনই এক ব্ল্যাক ফরেস্টে প্রবেশ করবেন যেখানে আপনাকে প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলার আগে দুবার ভেবে নিতে হবে। সারফেস ওয়েবে যেসব হ্যাকিং টেকনিক দেখতে পান তা হল এই ডার্ক ওয়েব থেকে লীক হওয়া ১% তথ্যের অংশ বিশেষ। এখানকার হ্যাকাররা খুবই ভয়ংকর এবং প্রোগামিং এ তাদের কোন জুড়ি নেই, সাবধান আপনার মেইলই হ্যাক হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া সরকারের এজেন্টগুলোতো আছেই।

কিন্তু প্রশ্ন হল এই সব নেটওর্য়াক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নাকে ডকা দিয়ে কিভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে???

এটা বুঝতে হলে আমাদের এইরকম একটি নেটওর্য়াক নিয়ে একটু চিন্তা করতে হবে…

ডার্কওয়েবে ব্যবহৃত নেটওর্য়াকের মধ্যে সারফেস ওয়েবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে পড়েছে এমন এক নেটওর্য়াক হল অনিয়ন নেটওর্য়াক। অনিয়নের Pseudo-top-level-domain হল .onion। আর এর সাইটগুলোর ঠিকানা ভূতুড়ে! মূলত মার্কিন নেভির জন্য তৈরী করা হলেও এই নেটওর্য়াক আজ বিশ্বব্যাপী ছদ্মবেশী নেট ব্যবহারকারীদের প্রথম পছন্দ। অনিয়নে আপনার ব্রাউজার দিয়ে ঢুকতে পারবেন না, এজন্য আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে Tor ব্রাউজার।

টর আপনার পরিচয়কে লুকিয়ে ফেলবে আর এর ফলে কারো পক্ষে আপনার অবস্থান শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। আপনি যখন টর দিয়ে কোন সাইটে ঢুকতে যাবেন তখন টর আপনার এই রিকোয়েস্ট কঠিন এনক্রিপশনের মধ্য দিয়ে অনিয়ন প্রক্সিতে পাঠাবে। অনিয়ন প্রক্সিতে আপনার পাঠানো ডেটা আর ডেটা থাকে না, সেটা দুর্বোধ্য এক স্ক্রিপ্টে পরিণত হয়।

এই ধরণের দুর্বোধ্য সিস্টেমের কারণেই এই সমস্ত নেটওর্য়াক সব সময়ই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। অনিয়ন নেটওর্য়াকে থাকা ব্ল্যাক মার্কেটগুলোর ভেতর সবচেয়ে জনপ্রিয় হল Silkroad, ফোর্বসের হিসেবে এখানে গত বছর ২২ মিলিয়ন ডলারের বেচা-কেনা হয়েছিল। আর এখানে প্রচলিত মুদ্রায় বেচাকেনা হয় না, বেচাকেনা হয় Bitcoin নামক একধরণের ভার্চুয়াল মুদ্রাতে। মাইক্রোসফট, অ্যাপেলের প্রোডাক্ট এখানে ৮০% পর্যন্ত ডিস্কাউন্টে পাওয়া যায়।

এতসব অনিয়মের ভেতরেও এই ধরণের ব্যবস্থাকে সমর্থন করি, কেন? একটি উন্মুক্ত প্লাটফোর্ম থাকা আসলেই প্রয়োজন। যে শিশু পর্ণোগ্রাফি তৈরি করে সে এই নেটওর্য়াক বন্ধ করলে আরেকভাবে তার কাজ করবে। আর তাছাড়া চিরকালই সাইবার সন্ত্রাসীরা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো থেকে একধাপ এগিয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি Internet Protocol ^ 6 বের হলেও সারফেস ওয়েবে এখনো পড়ে আছে সেই মান্ধতার আমলের Internet Protocol ^ 4 এ। অথচ আন্ডারগ্রাউন্ডের মোটামুটি সব সাইটই IP^6 ব্যবহার করছে।

যেহেতু ইন্টারনেটেরও মানুষের বাকি সব সৃষ্টির মত খারাপদিক আছে তাই এটার সাথেই মানিয়ে নিয়ে চলতে হবে। আর অবশ্যি বলব যে জীবনে একবার হলেও ডার্ক ওয়েবে ঘুরে আসুন, তা না হলে বরফখন্ডে আশ্রিত শীলের মত মহাসাগরের স্বাদ মিস করবেন।

তবে হ্যা, বেশী দূর যাবেন না। মনে রাখবনে, সরকারের অঢেল টাকা আছে, তাই তারা চাইলেই ডার্ক ওয়েবের মেধাবী হাজারো হ্যাকারকে ভাড়া করতে পারবে আপনারমত লোকদের ডার্ক ওয়েবে চোখে চোখে রাখতে।



ইন্টারনেট কি? এর বিস্তৃতি কত? আমরা ইন্টারনেট সম্পর্কে কতটুকু জানি?

Posted by Habibul Islam || 11,july,2020 
এই ব্লগ টা করার জন্য প্রথমেই  ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কারন আমি নিজেই ইন্টারনেট সম্পর্কে খুব বেশি অবগত নই।তারপরেও ইচ্ছা হলো ক্ষুদ্র জ্ঞান বন্টনের।কারন জ্ঞান বন্টনে তা আরও বেড়ে যায়।   
 

ইন্টারনেট কি?

Image not found

ইন্টারনেট কি সেটা সহজ ভাষায় বললে, আন্তর্জাল বা ইন্টারনেট হল এমন একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যেটা পুরো পৃথিবীর সকল কম্পিউটারকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে। তবে আরেকটু বিস্তারিতভাবে বললে- কিছু কম্পিউটার একে অপরের সাথে সংযুক্ত থেকে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরী করে। এভাবে পৃথিবীর অধিকাংশ কম্পিউটার একে অপরের সাথে সংযুক্ত থেকে যে কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলো তৈরি করেছে, সেগুলোর সমষ্টিকেই আমরা ইন্টারনেট বলি। আর আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে কম্পিউটারগুলো একে অপরের সাথে ডেটা আদান-প্রদান করে থাকে।

সম্পূর্ণ ইন্টারনেটকে মোট তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. সার্ফেস ওয়েব (Surface Web), ২. ডীপ ওয়েব (Deep Web), ৩. ডার্ক ওয়েব (Dark Web)৷

image not found

সার্ফেস ওয়েব (Surface Web):

আমাদের নজরে আসা ইন্টারনেটের জগতকেই মূলত সার্ফেস ওয়েব হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। এই যে, আপনারা গুগলে কিংবা বিভিন্ন সাধারন সার্চ ইঞ্জিন ব্যাবহার করে তথ্য পাচ্ছেন তা সকল গুলোই সার্ফেস ওয়েব এর অন্তর্ভুক্ত। এমনি ভাবে আপনার প্রতিদিনের নিউজ আপডেট সাইট গুলো, প্রযুক্তি সাইট গুলো, গান ডাউনলোড সাইট গুলো ইত্যাদি সবাই সার্ফেস ওয়েবের অংশ। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, এই সার্ফেস ওয়েব সম্পূর্ণ ইন্টারনেটের মাত্র ৫% জুড়ে রয়েছে! আশ্চর্যের কিছুই নেই। মাত্র তো শুরু...

ডীপ ওয়েব (Deep Web): 

একটি গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে যে, সম্পূর্ণ ইন্টারনেটের প্রায় ৯৫% অংশ হলো এই ডীপ ওয়েব। এখন এই ডীপ ওয়েবে কি কি সংরক্ষিত রয়েছে সে বিষয়ে প্রথমে জেনে নেয়। দেখুন আপনার যতো অনলাইন স্টোরেজ রয়েছে যেখানে আপনার সকল ডাটা স্টোর করা রয়েছে। যেমন কথা বলি গুগল ড্রাইভ নিয়ে বা ড্রপ বক্স নিয়ে। আবার বড় বড় ইউনিভার্সিটিতে যতো গুলো গবেষণা তথ্য বা গোপন তথ্য স্টোর করা রয়েছে বা ব্যাংক এর যতো গুলো তথ্য বা ডাটাবেজ রয়েছে অথবা সরকারের যে গোপন প্রজেক্ট গুলো সংরক্ষিত রয়েছে তো এই সবই হলো ডীপ ওয়েবের অংশ। অর্থাৎ বাংলা ভাষায় বলতে যে তথ্য গুলো আপনি গুগল সার্চ করে কখনোও খুঁজে পাবেন না সেটিই হলো ডীপ ওয়েব।
ডীপ ওয়েব থেকে আপনি যদি কোন তথ্য অ্যাক্সেস করতে চান তবে আপনার প্রয়োজন পড়তে পারে একটি বিশেষ ওয়েব অ্যাড্রেস। একটি বিশেষ সাইট একটি বিশেষ সার্ভারের জন্য একটি বিশেষ ওয়েব অ্যাড্রেস। এবং ওয়েব অ্যাড্রেসের সাথে আপনার প্রয়োজন একটি বিশেষ অনুমতি, যে আপনি ঐ ওয়েবসাইট টির উমুক তথ্য অ্যাক্সেস করার উপযোগী। অনুমতি গ্রহন করার জন্য আপনাকে হয়তো কোন লগইন আইডি বা পাসওয়ার্ড প্রবেশ করাতে হতে পারে অথবা সেটি যেকোনো ধরনের অথন্টিকেশন হতে পারে। কিন্তু আপনি বিশেষ ওয়েব অ্যাড্রেস ছাড়া কখনই ডীপ ওয়েবে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেননা ডীপ ওয়েবের কোন তথ্যই গুগল বা যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করা থাকে না। তো আপনি যতই সার্চ করতে থাকুন না কেন, আমার গুগল ড্রাইভে কি সেভ করা আছে তা আপনি কখনই খুঁজে এবং অ্যাক্সেস করতে পারবেন না।


 ডার্ক ওয়েব( Dark Wave): 

ইন্টারনেটের আরো একটি অধ্যায় আছে যা সবার কাছে লুকায়িত হয়ে থাকে, তার নাম হলো ডার্ক ওয়েব বা ইন্টারনেটের কলঙ্কিত অংশ। দেখুন ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে শুধু এই পোস্ট থেকে জেনে রাখুন। কিন্তু আমি শুরু করার আগে আপনাকে সতর্ক করে দিতে চাই যে এই ডার্ক ওয়েব সম্পূর্ণ অবৈধ ইন্টারনেট। ডার্ক ওয়েব কখনই ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন না।এবার চলুন ডার্ক ওয়েব নিয়ে সামনে এগোনো যাক। বন্ধুরা ডার্ক ওয়েবে মনে করুন যা ইচ্ছা তাই করা সম্ভব। ডার্ক ওয়েবে ড্রাগস ডিলিং, আর্মস ডিলিং সহ এমন এমন অসংখ্য অবৈধ কাজ সম্পূর্ণ করা হয় যার সম্পর্কে আজ এই পোস্টে খুলে বলা সম্ভব নয়। ডার্ক ওয়েব ইন্টারনেটের সেই কালো অধ্যায় যেখানে যেকোনো কিছু যেকোনো সময় করা সম্ভব। ডার্ক ওয়েবও কিন্তু সাধারন গুগল সার্চ করে কখনো খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়।যদি আপনি ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করতে চান তবে আপনার প্রয়োজন পড়বে একটি বিশেষ ইন্টারনেট ব্রাউজার। যা ইন্টারনেটে টর (TOR) ব্রাউজার হিসেবে পরিচিত। এবং আপনি যদি এই টর ব্রাউজার ব্যবহার করেন তবেই ডার্ক ওয়েবে যেকোনো কিছু অ্যাক্সেস করতে পারবেন। কিন্তু আবার বলে রাখছি এটি ব্যবহার করা সম্পূর্ণ অবৈধ। সকল প্রকারের ব্লাক মার্কেট অবস্থান করে ডার্ক ওয়েবে। টর ব্রাউজার আপনার অ্যাড্রেসকে অনেক অনেক লোকেশনে বাউঞ্জ করিয়ে তবেই কাঙ্ক্ষিত ওয়েব অ্যাড্রেসে পৌঁছে দেয়। আপনার গন্তব্বে যে ইউজার থাকে সেই শুধু আপনাকে ট্রেস করতে পারে। তাছাড়া এমনি যে কেউ আপনাকে ট্রেস করতে পারবে না। টর প্রথম প্রথম আবিষ্কার হয়েছিলো ইউএস নেভির জন্য। কিন্তু এটি বর্তমানে একদম ওপেন একটি বিষয় হয়ে গিয়েছে। গোটা ইন্টারনেট জগতে জালের মতো ছড়িয়ে আছে এই ডার্ক ওয়েব। এবং একে নিয়ন্ত্রন করা অনেক মুশকিল ব্যাপার। সরকার ডার্ক ওয়েব ধিরেধিরে বন্ধ করছে। কিন্তু এখনো ডার্ক ওয়েবের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে আমি বলবো না যে একদম টর ব্রাউজারই ব্যবহার করবেন না। টর ব্রাউজার আপনি ভিপিএন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এবং এটির মাধ্যমে সার্ফেস ওয়েব ও ডীপ ওয়েব অ্যাক্সেস করতে পারেন। কিন্তু ভুলেও ডার্ক ওয়েবের দিকে পা বাড়াবেন না।


আরো জানতে পারেন... 

Dark Web, Deep 

Web কি ? এবং এটা কি ভাবে ব্যবহার করবেন?


ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং কি এবং কিভাবে কাজ করে?

  ডিভাইস ফিংগারপ্রিন্টিং কি এবং কিভাবে কাজ করে? আমরা সবাই ইন্টারনেটে কুকিজ এবং ব্রাউজার সেশনস ইত্যাদি ব্যাবহার করে ইউজারের ব্যাপারে ইনফরমেশন...